যশোরে ভৈরব নদের পাড় হবে নান্দনিক স্থান

,
যশোরে ভৈরব নদের পাড় হবে নান্দনিক স্থান
ছবি: প্রতিনিধি

যশোর শহরের ভৈরব নদের পাড় হবে নান্দনিক স্থান। ময়লার ভাগাড় হিসেবে পরিচিত স্থানে ফুটবে ফুল। থাকবে দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা, নানা জাতের ফলজ ও বনজ গাছগাছালি। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবে সব বয়সের মানুষ।

ভৈরব পাড়ের যশোর শহর অংশের দড়াটানা থেকে গরীবশাহ মাজার পর্যন্ত এভাবেই পরিকল্পিতভাবে সাজানো হচ্ছে। আট কোটি টাকা বরাদ্দের উন্নয়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

শহরের ভেতর নদের তীরে রয়েছে সহস্রাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ঘরবাড়ি। অবৈধ স্থাপনা আর একের পর এক দখলে যে নদ মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিল, সংষ্কারে তাতে পানির প্রবাহ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেও সেযব স্থানে হাঁটুপানি থাকতো, সেখানে এখন অল্প হলেও আসতে শুরু করেছে জোয়ার। তবে, এখন কিছুটা শুষ্ক হলেও বর্ষা মৌসুমে জোয়ার ভাটা হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। গত বছরও জোয়ার দেখা গিয়েছিল শহরের দড়াটানা ব্রিজের অংশের আশেপাশে।

সরেজমিনে দড়াটানা থেকে গরিবশাহের মাজার পর্যন্ত ভৈরব নদের দক্ষিণপাশে এবং দড়াটানা ব্রিজের পশ্চিম পাশে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চোখে পড়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করছেন নদের পাড়ে পায়েহাঁটার জন্য দুটি রাস্তা। পানির ফোয়ারা এবং সাধারণের জন্য বাথরুম নির্মানের কাজও চলছে পুরোদমে। স্থানটিকে সাজানো হবে নানান জাতের ফুল আর ফলজ গাছ দিয়ে। নদের দক্ষিণপাশে মূল রাস্তার সাথে নির্মাণ হবে প্রাচীর। রাতে স্থানটিকে আকর্ষণীয় করতে থাকবে রংবেরঙের বাতিসহ অন্যান্য স্থাপনা। একাজ করতে ২০২২ সালে আট কোটি টাকার টেন্ডার করা হয় বলে জানায় যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড। মোট কাজ হবে ২০০ মিটার। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও। এই কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কাজ শেষ হলে স্থানটিতে পার্কের পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যা পুরো শহরের চেহারাকেই পাল্টে দিয়ে স্থানটিকে সকলের কাছে উপভোগ্য করে তুলবে।

সোহেল নামে একজন পথচারী বলেন, দড়াটানা ভৈরব চত্বর দীর্ঘদিন অবৈধ দখলদারদের কবলে ছিল। সেটা মুক্ত করার পর স্থানটি মংলা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। স্থানীয়রা নিজেদের বাড়ি, প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন এখানে। ফলে স্থানটি দিন দিন সৌন্দর্য্য হারিয়ে ফেলছিল। সেই অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে স্থানটি যেভাবে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এটাতে শুধু পথচারীরাই আকৃষ্ট হবেন তা নয়, অবসরে শহরবাসী নির্মল পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ লাভ করবেন। সেই সাথে বদলে যাবে শহরের সার্বিক চেহারাও।

ফরিদুল ইসলাম নামে আর একজন পথচারী বলেন, রোদের তেজ বাড়লেই দড়াটানা অংশের ভৈরব পাড়ে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ হয়। যে স্থানে কাজ চলছে ওই স্থানগুলোতে নোংরা পরিবেশের কারণে মশা-মাছির উপদ্রব ছিল। সেই দুর্গন্ধ দূর হয়ে নান্দনিক পরিবেশে রূপ নিবে তা তিনি তা কখনো চিন্তাও করেননি বলে জানান। একইসাথে ক্লান্ত পথিক এখানে বসে শরীরকে ফুরফুরে করতে পারবেন বলেও তার আশা।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সায়েদুর রহমান বলেন, চলতি বছরের জুনে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে স্থানটি।
এ প্রকল্পের এক অংশের ঠিকাদার শামীম চাকলাদার বাবু বলেন, তাদের কাজ পুরো দমে চলছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ ধরনের সুন্দর একটি কাজের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্যও মনে করছেন তিনি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

যশোরে ভৈরব নদের পাড় হবে নান্দনিক স্থান

যশোরে ভৈরব নদের পাড় হবে নান্দনিক স্থান
ছবি: প্রতিনিধি

যশোর শহরের ভৈরব নদের পাড় হবে নান্দনিক স্থান। ময়লার ভাগাড় হিসেবে পরিচিত স্থানে ফুটবে ফুল। থাকবে দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা, নানা জাতের ফলজ ও বনজ গাছগাছালি। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবে সব বয়সের মানুষ।

ভৈরব পাড়ের যশোর শহর অংশের দড়াটানা থেকে গরীবশাহ মাজার পর্যন্ত এভাবেই পরিকল্পিতভাবে সাজানো হচ্ছে। আট কোটি টাকা বরাদ্দের উন্নয়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

শহরের ভেতর নদের তীরে রয়েছে সহস্রাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ঘরবাড়ি। অবৈধ স্থাপনা আর একের পর এক দখলে যে নদ মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিল, সংষ্কারে তাতে পানির প্রবাহ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেও সেযব স্থানে হাঁটুপানি থাকতো, সেখানে এখন অল্প হলেও আসতে শুরু করেছে জোয়ার। তবে, এখন কিছুটা শুষ্ক হলেও বর্ষা মৌসুমে জোয়ার ভাটা হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। গত বছরও জোয়ার দেখা গিয়েছিল শহরের দড়াটানা ব্রিজের অংশের আশেপাশে।

সরেজমিনে দড়াটানা থেকে গরিবশাহের মাজার পর্যন্ত ভৈরব নদের দক্ষিণপাশে এবং দড়াটানা ব্রিজের পশ্চিম পাশে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চোখে পড়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করছেন নদের পাড়ে পায়েহাঁটার জন্য দুটি রাস্তা। পানির ফোয়ারা এবং সাধারণের জন্য বাথরুম নির্মানের কাজও চলছে পুরোদমে। স্থানটিকে সাজানো হবে নানান জাতের ফুল আর ফলজ গাছ দিয়ে। নদের দক্ষিণপাশে মূল রাস্তার সাথে নির্মাণ হবে প্রাচীর। রাতে স্থানটিকে আকর্ষণীয় করতে থাকবে রংবেরঙের বাতিসহ অন্যান্য স্থাপনা। একাজ করতে ২০২২ সালে আট কোটি টাকার টেন্ডার করা হয় বলে জানায় যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড। মোট কাজ হবে ২০০ মিটার। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও। এই কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কাজ শেষ হলে স্থানটিতে পার্কের পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যা পুরো শহরের চেহারাকেই পাল্টে দিয়ে স্থানটিকে সকলের কাছে উপভোগ্য করে তুলবে।

সোহেল নামে একজন পথচারী বলেন, দড়াটানা ভৈরব চত্বর দীর্ঘদিন অবৈধ দখলদারদের কবলে ছিল। সেটা মুক্ত করার পর স্থানটি মংলা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। স্থানীয়রা নিজেদের বাড়ি, প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন এখানে। ফলে স্থানটি দিন দিন সৌন্দর্য্য হারিয়ে ফেলছিল। সেই অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে স্থানটি যেভাবে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এটাতে শুধু পথচারীরাই আকৃষ্ট হবেন তা নয়, অবসরে শহরবাসী নির্মল পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ লাভ করবেন। সেই সাথে বদলে যাবে শহরের সার্বিক চেহারাও।

ফরিদুল ইসলাম নামে আর একজন পথচারী বলেন, রোদের তেজ বাড়লেই দড়াটানা অংশের ভৈরব পাড়ে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ হয়। যে স্থানে কাজ চলছে ওই স্থানগুলোতে নোংরা পরিবেশের কারণে মশা-মাছির উপদ্রব ছিল। সেই দুর্গন্ধ দূর হয়ে নান্দনিক পরিবেশে রূপ নিবে তা তিনি তা কখনো চিন্তাও করেননি বলে জানান। একইসাথে ক্লান্ত পথিক এখানে বসে শরীরকে ফুরফুরে করতে পারবেন বলেও তার আশা।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সায়েদুর রহমান বলেন, চলতি বছরের জুনে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে স্থানটি।
এ প্রকল্পের এক অংশের ঠিকাদার শামীম চাকলাদার বাবু বলেন, তাদের কাজ পুরো দমে চলছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ ধরনের সুন্দর একটি কাজের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্যও মনে করছেন তিনি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।